Posts

Showing posts from August, 2025

কুসুম্বা মসজিদ

       পাঁচ টাকা নোটে অঙ্কিত সাড়ে চারশ’ বছরের অধিক কাল পূর্বে নির্মিত মসজিদ হল কুসুম্বা মসজিদ। মসজিদটি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কুসুম্বা গ্রামের একটি প্রাচীন মসজিদ। কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাড়ে, পাথরের তৈরি ধুসর বর্ণের মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল (১৫৫৪-১৫৬০ খ্রিস্টাব্দ)। আফগানী শাসনামলের শুর বংশে শেষদিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে একজন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ইউকিপিডিয়ার তথ্য মতে, মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ফুট, প্রস্থে ৪২ফুট। দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা। প্রাচীর ঘেরা মসজিদটির প্রধান ফটকে প্রহরী চৌকি ছিলো। মসজিদটিতে ইটের গাঁথুনি, সামান্য বাঁকানো কার্ণিশ এবং সংলগ্ন আটকোণা বুরুজ -এগুলো থেকে মসজিদের স্থাপত্যে বাংলা স্থাপত্যরীতির প্রভাব পাওয়া যায়। মসজিদের মূল গাঁথুনি ইটের হলেও এর সম্পূর্ণ দেয়াল এবং ভেতরের খিলানগুলো পাথরের আস্তরণে ঢাকা। মসজিদের স্তম্ভ, ভিত্তি মঞ্চ, মেঝে ও দেয়ালের জালি নকশা পর্যন্ত পাথরের। মসজিদটি আয়তাকার এবং এতে রয়েছে তিনটি বে এবং ...

ঘুঘু ডাঙ্গা

Image
‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তালগাছ’ কবিতার বাস্তবদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। এ উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙা-শিবপুর সড়ক যা বর্তমানে তালতলী নামে পরিচিত পেয়েছে। সড়কের দু’পাশজুড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দেখা মিলবে অসংখ্য তালগাছ। সারি সারি এসব গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে একটা সময় গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দেখা মিলতো তালগাছ। তবে সে দৃশ্য এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তালগাছের সংখ্যা কমে গেছে। তবে জেলা শহর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা-শিবপুর সড়ক। এ সড়কের দুইপাশে প্রায় পাঁচ হাজার তালগাছ আছে। তালগাছগুলো এ সড়কটিকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে। ক্লান্তপথিক এ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় গাছের ছায়ায় এক অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করে। সড়কের দুই পাশে দেখা মিলবে সবুজের ফসলের ক্ষেত। এটি একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে অন্যদিকে এ জায়গাটি পর্যটকদের কাছে এখন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। নির্মল বাতাস আর তালগাছের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দ...

হাসাইগাড়ী বিল

  পানির ঢেউয়ের শব্দ আর সূর্যাস্তের সময় আকাশের লাল আভা পানিতে পড়তেই রক্তিম হয়ে ওঠে চারপাশ। নয়নাভিরাম এই দৃশ্যের দেখা মেলে নওগাঁর হাঁসাইগাড়ী বিলে। বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা সড়ক। নির্মল বাতাস আর লাল শাপলা দর্শনার্থীদের মন কাড়ে।  এখানে সময় কাটাতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। নওগাঁ জেলা শহর থেকে সড়ক পথে ১১ কিলোমিটার দূরে এই হাঁসাইগাড়ী বিলের অবস্থান। শহরের গোস্তহাটির মোড় থেকে যে কোনো যানবাহনে চড়ে সেখানে যাওয়া যায়। নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন শীষ বলেন, হাঁসাইগাড়ী বিলের অবারিত সৌন্দর্য খুবই আকর্ষণীয়। এখানে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে আরও কীভাবে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করা যায় সে ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করাসহ সেলফি পয়েন্ট নির্মাণ করা হয়েছে।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিল থেকে বছরে প্রায় ১৮ হাজার ৪১৩ টন বোরো ধান, ৭৬০ টন সরিষা ও ১৩৪ টন আলু উৎপাদন হয়। আগে শুধু ধান উৎপাদন হলেও এখন কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে বাড়তি রবিশস্য উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করাসহ কৃষকদে...

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

Image
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়। পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। নগর জীবনের বাইরে কিছুটা সময় কাঁটাতে হলে আপনি সহজেই ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল। শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিস্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। জয়পুরহাট শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিম এবং জামালগঞ্...

সুনামগঞ্জ

  সুনামগঞ্জ জেলা   বাংলাদেশের  উত্তর-পূর্বাঞ্চলের  সিলেট বিভাগের  একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে সুনামগঞ্জ বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। [ ৩ ]  কিংবদন্তি এবং ঐতিহাসিক তথ্যাবলি থেকে অনুমান করা হয় যে, সুনামগঞ্জ জেলার সমগ্র অঞ্চল প্রাচীন  কামরূপ  বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। জনৈক মোঘল সিপাহি সুনামুদ্দির নামে সুনামগঞ্জের নামকরণ করা হয়। ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সুনামগঞ্জকে মহকুমায় এবং ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে জেলায় উন্নীত করা হয়। [ ৪ ]