Posts

সিলেট সুনামগঞ্জের ৪ তাপমাত্রা ভূমিকম্প

Image
 সিলেটে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প, উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের ছাতক 📅 তারিখ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজ রোববার সকালেই সিলেট অঞ্চলে হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই মৃদু কম্পন টের পেয়ে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হওয়ায় যে কোনো সময় মাঝারি থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। তাই জনগণকে সচেতন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ স্থানে অবস্থান করা, ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকা এবং আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

redirect

 

মহাস্থানগড় ঐতিহ্য

Image
মহাস্থানগড়: বাংলার প্রাচীনতম নগরীর ঐতিহ্য  বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অমূল্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে মহাস্থানগড় অন্যতম। এটি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। ইতিহাসবিদদের মতে, এটি প্রাচীন ‘পুণ্ড্রনগরী’র রাজধানী ছিল, যার অস্তিত্ব ২৫০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। ইতিহাসের ঝলক মহাস্থানগড়ের ইতিহাস মौर্য যুগ (তৃতীয় খ্রিস্টপূর্ব শতক) পর্যন্ত প্রসারিত। এখানে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে সম্রাট অশোকের শাসনকালে ব্রাহ্মী লিপি খোদাই করা শিলালিপি পাওয়া গেছে। এটি প্রমাণ করে যে মহাস্থানগড় সেই সময় থেকেই রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব মহাস্থানগড় প্রত্নস্থলে বিভিন্ন সময়ের নিদর্শন পাওয়া গেছে— দুর্গ প্রাচীর প্রাচীন রাজপ্রাসাদ মসজিদ, মন্দির ও স্তূপ পাথরের শিলালিপি ও মুদ্রা প্রত্ননিদর্শন যেমন মৃৎপাত্র, অলঙ্কার, ভাস্কর্য ইত্যাদি এসব নিদর্শন প্রমাণ করে যে, মহাস্থানগড় ছিল বৌদ্ধ, হিন্দু ও মুসলিম সভ্যতার মিলনস্থল। পর্যটন আকর্ষণ বর্তমানে মহাস্থানগড় বাংলাদেশ ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। দুর্গনগরীর ভেত...

বান্দরবান প্রাকৃতিক এক লীলাভূমি

Image
  বান্দরবান: পাহাড়, প্রকৃতি আর রঙিন সংস্কৃতির এক অপার সৌন্দর্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে, চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলাগুলোর একটি হলো  বান্দরবান । সবুজে ঘেরা পাহাড়, ঝর্ণা, আদিবাসী সংস্কৃতি আর প্রকৃতির অদ্ভুত শোভায় সমৃদ্ধ এই জেলা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এক অপূর্ব গন্তব্য। পাহাড় আর প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানকে বলা হয় বাংলাদেশের "পাহাড়ের রাণী"। এখানে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ কিছু পাহাড়চূড়া— তাজিংডং কেওক্রাডং নাফাখুম ঝর্ণা রুমা, রেমাক্রি ও থানচি এলাকার পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরতে গেলে চোখে পড়বে নদী, ঝর্ণা আর আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র নাফাখুম ঝর্ণা  – একে বাংলাদেশের নায়াগ্রা ফলস বলা হয়। বগালেক  – পাহাড়চূড়ার কোলে অবস্থিত নীলাভ হ্রদ, যার চারপাশে রয়েছে মেঘের খেলা। নীলগিরি  – ভোরবেলায় মেঘ ছোঁয়া পাহাড়ের দৃশ্য দেখার জন্য বিখ্যাত। নীলাচল  – বান্দরবান শহরের কাছে এক দর্শনীয় ভিউ পয়েন্ট। চিম্বুক পাহাড়  – এক অনন্য উচ্চতার জায়গা, যেখান থেকে চারপাশের গ্রাম ও পাহাড় দেখা যায়। আদিবাসী সংস্কৃতি বান্দরবানে চাকমা, মারমা, ম্রো, বমসহ প্রায় ১৫টিরও বেশি আদ...

কক্সবাজার

  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত  (Coxsbazar Sea Beach)  নিয়ে কথা বলতেই প্রথমে মাথায় আসে এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অখণ্ড এ সাগর সৈকত দেশী বিদেশি পর্যটকদের উত্তাল ঢেউ এবং মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্থের মায়াজালে আবদ্ধ করে রাখে। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকেন। চলুন জেনে নেই  কক্সবাজার  সমুদ্র সৈকতে কি আছে, আশেপাশের দর্শনীয় স্থান, কক্সবাজার যাওয়ার উপায়, হোটেল ও রিসোর্ট, কোথায় খাবেন ও কিভাবে ট্যুর প্ল্যান সাজাবেন তার তথ্য। সেই সাথে কক্সবাজার ভ্রমণ সহজ ও খরচ কমানোর নানান টিপস সহ নানান টুকিটাকি তথ্য।

কুসুম্বা মসজিদ

       পাঁচ টাকা নোটে অঙ্কিত সাড়ে চারশ’ বছরের অধিক কাল পূর্বে নির্মিত মসজিদ হল কুসুম্বা মসজিদ। মসজিদটি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কুসুম্বা গ্রামের একটি প্রাচীন মসজিদ। কুসুম্বা দিঘির পশ্চিম পাড়ে, পাথরের তৈরি ধুসর বর্ণের মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল (১৫৫৪-১৫৬০ খ্রিস্টাব্দ)। আফগানী শাসনামলের শুর বংশে শেষদিকের শাসক গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহের আমলে সুলায়মান নামে একজন এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ইউকিপিডিয়ার তথ্য মতে, মসজিদটি দৈর্ঘ্যে ৫৮ফুট, প্রস্থে ৪২ফুট। দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা। প্রাচীর ঘেরা মসজিদটির প্রধান ফটকে প্রহরী চৌকি ছিলো। মসজিদটিতে ইটের গাঁথুনি, সামান্য বাঁকানো কার্ণিশ এবং সংলগ্ন আটকোণা বুরুজ -এগুলো থেকে মসজিদের স্থাপত্যে বাংলা স্থাপত্যরীতির প্রভাব পাওয়া যায়। মসজিদের মূল গাঁথুনি ইটের হলেও এর সম্পূর্ণ দেয়াল এবং ভেতরের খিলানগুলো পাথরের আস্তরণে ঢাকা। মসজিদের স্তম্ভ, ভিত্তি মঞ্চ, মেঝে ও দেয়ালের জালি নকশা পর্যন্ত পাথরের। মসজিদটি আয়তাকার এবং এতে রয়েছে তিনটি বে এবং ...

ঘুঘু ডাঙ্গা

Image
‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তালগাছ’ কবিতার বাস্তবদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যাবে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। এ উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙা-শিবপুর সড়ক যা বর্তমানে তালতলী নামে পরিচিত পেয়েছে। সড়কের দু’পাশজুড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দেখা মিলবে অসংখ্য তালগাছ। সারি সারি এসব গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে একটা সময় গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন সড়কের পাশে দেখা মিলতো তালগাছ। তবে সে দৃশ্য এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তালগাছের সংখ্যা কমে গেছে। তবে জেলা শহর থেকে পশ্চিমে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘুডাঙ্গা-শিবপুর সড়ক। এ সড়কের দুইপাশে প্রায় পাঁচ হাজার তালগাছ আছে। তালগাছগুলো এ সড়কটিকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে। ক্লান্তপথিক এ সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় গাছের ছায়ায় এক অন্যরকম প্রশান্তি অনুভব করে। সড়কের দুই পাশে দেখা মিলবে সবুজের ফসলের ক্ষেত। এটি একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে অন্যদিকে এ জায়গাটি পর্যটকদের কাছে এখন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। নির্মল বাতাস আর তালগাছের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দ...